যৌনপল্লী এলাকার জলাশয় থেকে ফের দেহের টুকরো উদ্ধার : ত্রিকোন প্রেমে খুনের তদন্ত চলছে

31st October 2020 8:37 pm হুগলী
যৌনপল্লী এলাকার জলাশয় থেকে ফের দেহের টুকরো উদ্ধার : ত্রিকোন প্রেমে খুনের তদন্ত চলছে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : শেওড়াফুলি যৌনপল্লীর মুখার্জীপাড়া এলাকার জলাশয় থেকে শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার  টুকরো দেহাংশ। উদ্ধার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।শনিবার সকালে  শেওড়াফুলি থেকে বিষ্ণু মাল খুনে আরও এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ,এখন অধরা মূল অভিযুক্ত বিশাল। ধৃতের নাম মান্তু ঘোষ।ধৃতকে জেরা করে জানা যায় এই জায়গার কাথা ! পুলিশ সূত্রে খবর,গত ১০ অক্টোবর বিষ্ণু মালকে চুঁচুড়া থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাঁপদানীর একটি বাড়িতে খুন করে বিশাল ও তার সঙ্গীরা।খুনের পর দেহ কেটে টুকরো করে ব্যাগে ভরে দেহাংশ ফেলে দেয়।গত ২৬ অক্টোবর বিশালের দুই সঙ্গী রাজকুমার প্রামানিক ও কৃষ্ণ মন্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বৈদ্যবাটি খালের পাশ থেকে বিষ্ণুর হাত পা উদ্ধার করে পুলিশ।পরদিন আরও দুই অভিযুক্ত রতন ব্যাপারী ও বিনোদ দাসকে গ্রেফতার করে চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। তাদের জেরা করে মান্তুর খোঁজ পায়।ঘটনার পরদিন মান্তু বিমানে করে হিমাচলে পালিয়ে যায়।গতকাল এলাকায় ফেরে।শনিবার তাকে শেওড়াফুলি থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দরা। ধৃত মান্তুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষ্ণুর দেহের বাকি অংশের খোঁজ করছে পুলিশ । ত্রিকোন প্রেমের জেরে নৃশংস খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কুখ্যাত দুষ্কৃতি বিশাল দাস এখনো ফেরার। 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।